করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছেনা পোশাকের ক্রয়াদেশ। ইউরোপ আমেরিকায় গরমকালিন পোশাকের মৌসুম সামনে রেখে কাঙ্খিত সাড়া নেই ক্রেতাদের। উল্টো কমমূল্যের পোশাকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। কারখানা টিকিয়ে রাখতে সেই সব ক্রয়াদেশ নিতেও বাধ্য হচ্ছেন কারখানা মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও মালিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা রাখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির শুরুর দিকে এক প্রকার থমকে গিয়েছিলো তৈরি পোশাক রপ্তানি। তবে পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে বাড়তে থাকে রপ্তানি আদেশ। সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলো কারখানা মালিকরা। তবে ডিসেম্বর থেকে পাল্টে যায় সেই প্রেক্ষাপট।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বাংলাদেশে তেমন কোন প্রভাব না পরলেও পোশাক রপ্তানিতে বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। হিসেব বলছে, ডিসেম্বর মাসে মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৩১ কোটি ডলার, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ কম। নতুন বছরের প্রথম মাসেও সেই নেতিবাচক ধারা বজায় থেকে রপ্তানি হয়েছে ৩৪৩ কোটি ডলার, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ কম।
পোশাক মালিক খসরু চৌধুরি বলছেন, পোশাকের কাঙ্খিত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কিনছেন তারাও মূল দামের চেয়েও কম বলছেন।
ব্যবসায়ীদের কারখানা টিকিয়ে রাখার সুযোগ নিচ্ছে ক্রেতারা। মালিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও চোখে পড়ার মতো নয়। যদিও বিজিএমইএর এই সহ-সভাপতি আবদুস সালাম বলছেন, চেষ্টায় ঘাটতি নেই তাদের। পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে সব চেষ্টায় চলছে।
পরিচিত বাজারের বাইরে এসে নতুন বাজার খোজার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা বলছেন, পোশাক খাতের রপ্তানি বাড়াতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়া সংকটকালিন সময়ে ছোট কারখানাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।